Mcq_part_3
কম্পিউটারের প্রজন্ম বা জেনারেশন
আজকের যে কম্পিউটার সেটি অনেকদিনের বিবর্তনের
ইতিহাস। Abacus
থেকে শুরু করে Napier’s Bones ও
Blaise Pascal এর PASCALINE পর্যন্ত প্রায় ২
হাজার বছরের ইতিহাস এবং মানুষের সাফল্য শুধুমাত্র যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগের ফলাফল পাওয়ার
মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ১৮২৩ সালে Charles Babbage-ই প্রথম প্রোগ্রাম সমৃদ্ধ একাধিক কাজ করতে সম্ভব গণনা যন্ত্র আবিষ্কার
করেন। যার নাম Difference Engine. সেটিও প্রায় ২০০ বছর
আগের ইতিহাস। এরপরও ব্যাবেজই আরও ২০ বছর পরে ১৮৪২ সালে আবিস্কার করেন-Analytical
Engine। ব্যাবেজের মেশিনটিকেই George Scheutz ও Edvard
Scheutz নামের বাপ- বেটা দুইজন মিলে ১৮৫৩ সালে পর্যন্ত ডেভলপ
করার চেষ্টা করেন এবং ১৫ ডিজিট নাম্বার প্রসেস করতে সমর্থ হন। ১৮৯০ সালে Herman
Hollerith নামের বৈজ্ঞানিক Punchard ব্যবহার করে ডাটা ইনপুট ও সংরক্ষন করে প্রসেস করার প্রক্রিয়া রপ্ত করেন।
তার আগ পর্যন্ত পূর্নাঙ্গ কম্পিউটার কনসেপ্ট রপ্ত না করে আংশিক সাফল্যের মধ্যেই
সবাই সীমাবদ্ধ ছিলেন। Hollirith এর কোম্পানিই তার
প্রতিদ্বন্দ্বি কোম্পানীর সাথে যোগ দিয়ে শুরু করেন IBM
(International Business Machine) নামের কোম্পানী। যা কিনা আজকের বর্তমানে
কম্পিউটরের জনক কোম্পানী।
প্রথম প্রজন্ম (First Generation) কম্পিউটার (1937-1953)
পেনিসেলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির J. Presper
Eckert এবং
John V. Mauchly-র তৈরী
ENIAC (Electronic Numerical Integrator and Computer)-ই প্রথম প্রজন্মের প্রথম কম্পিউটার।
এটিই রূপান্তরিত হয়ে আসে EDVAC ও EDSAC. ভ্যাকুয়াম
(বায়ুশুন্য) টিউব দ্বারা এগুলি তৈরী হতো। সাথে থাকতো হাজার হাজার ডায়োড ও ট্রায়োড
ভাল্ভ, রেজিষ্টার, ক্যাপাসিটর ইত্যাদি। এগুলি আকারে অনেক বড় ছিল এবং বিদ্যুৎ খরচ
ছিল অনেক। চালু অবস্থায় এগুলি প্রচন্ড গরম হওয়ার কারনে পানি ঢালতে হতো। এটিতে Punch card ব্যবহার করে ডাটা
ইনপুট ও আউটপুট করতে হতো। Hydrogen
বম্ব তৈরীর ডিজাইনের
কাজে এগুলি ব্যবহার হয়েছিল। এই প্রজন্মের শেষ মডেলের মেশিন টি ছিল UNIVAC
(Universal Automatic Computer) যেটি তৈরী করেছিল ENIAC এর নির্মাতা Eckert ও Mauchly.
দ্বিতীয় প্রজন্ম (Second Generation) কম্পিউটার (1954-1962)
সব ধরনের কম্পিউটার সিস্টেম, দ্বিতীয় প্রজন্মে অনেক
প্রডোজনীয় উন্নতি সাধন হয়েছে। এউ প্রজন্মে কম্পিউটারে ভালভের পরিবর্তে ট্রানজিস্টর
ব্যবহার শুরু হয় (1959)। এই ট্রানজিস্টর তৈরী
করেন William
B. Shokly, Jon Berden এবং H. Bratain তিনজন সম্মিলিতভাবে। শুরু হলো কম্পিউটারের নতুন
দিগন্ত। কম্পিউটার আকারে ছোট হতে থাকলো এবং মেমরী, গতি. বাড়তে থাকলো। ডাটা
সংরক্ষনের জন্য চুম্বকীয় ডিষ্ক ব্যবহার শুরু হলো। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের
ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি সাধিত হলো।
শুরু হলো হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবহার যেমন FORTRAN (1956),
ALGDL(1958) COBOL (1959) ইত্যাদি। IBM বাজারে আনলো 709, 7094, IBM
1600 NCR 300, RCA -301 ইত্যাদি মডেলের কম্পিউটার।
তৃতীয় প্রজন্ম (Third Generation) কম্পিউটার (1963-1972).
Integrateel
Circuits বা
IC বদলে দিল তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটরের চেহারা। এই সার্কিটে থাকে ডায়োড,
ট্রানজিষ্টর সেমিকডজাকটর, মেমরীসহ অনান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস। কম্পিটারের আকার আবও
ছোট হয়ে গেল এবং দাম, বিদুৎ ব্যবহারের পরিমান কমতে লাগলো। বেড়ে গেল কাজের গতি,
নির্ভরশীলতা এবং সংরক্ষন ক্ষমতা। ল্যাঙ্গুয়েজের ক্ষেত্রেও ব্যপক উন্নতি সাধিত হলো।
Cambridge ও University of
London একসাথে তৈরী করলো CPL
(Combined Programming Language 1963)। আবারও Cambrige ইউনিভারসিটির Martin Richads
CPL থেকে BCPL
(Basic Computer Programming Language, (1967) তৈরী করলেন। অপর দিকে Bell নামের কোম্পানীতে Thompson CPL থেকে তৈরী করলেন B. যা কিনা UNIX এর সুচনা পর্ব এই
প্রজন্মেমই মিনি কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়তে থাকলো এই প্রজন্মেই কম্পিউটারের সাথে
মনিটর (VDU) ও প্রিন্টারের
ব্যবহার শুরু হয়।
চতুর্থ প্রজম্ম (Forth Generation) কম্পিউটার (1972-1984)
এই প্রজম্ম VLSI (Very Large Scale Integration) প্রযুক্তির মাধ্যমে
আবিস্কৃত হলো Microprocessor.
ফলে আবারও বদলে গেল
কম্পিউটারের চেহারা। সমস্ত পদ্ধতির কন্ট্রোল আসলো একটি ছোট Chip এর মাধ্যমে। এটি
সমস্ত কম্পিউটারের (Processor,
Main Memory এবং I/O
Controllers) কে নিয়ন্ত্রন করা শুরু করলো। মেইনফ্রেম ও মিনি কম্পিউটারে যুক্ত হলো অনেক
আধুনিক বৈশিষ্ট। Microprocessor
ব্যবহার করে সৃষ্টি
হলো Micro
Computer. আমেরিকার Jon
Blanken Baker ১৯৭১ সালে Kenbak
নামে প্রথম মাইক্রো
কম্পিউটার তৈরী করেন। পরে 1977 সালে এটি পূনাঁঙ্গ
হয়। Bell
কোম্পানীর
গবেষনাগারে উদ্ভব হয় C নামের প্রোগ্রামিং
ল্যাঙ্গুয়েজ এবং UNIX নামের অপারেটিং
সিষ্টেম।
পঞ্চম প্রজন্ম (Fifth Generation) কম্পিউটার (1984-1990)
এই প্রজন্ম থেকে কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়
অপাটিক্যাল ফাইবার। চিপের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় Super VLSI(Very
Large Seale Intergration) পদ্ধতি। এই প্রজন্মের কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে ১০/১৫
কোটি লজিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই প্রজন্ম থেকে মাল্টিটাস্কিং প্রক্রিয়া অনেক
শক্তিশালী হয়েছে। ইউজারদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। WAN (Wide Area
Netwirk) ও
LAN (Local Area Network) উভয ক্ষেত্রেই ব্যপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। এই
প্রজন্মের কম্পিউটারের প্রধান বিশেষত্ব কৃত্রিম বুদ্বিমত্তা।
ষষ্ঠ প্রজন্ম (Sixth Generation) কম্পিউটার (1990-2008)
মূলত এই প্রজন্ম থেকে সাধারণের মাঝে ব্যাপক হারে বেড়ে
যায় নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের ব্যবহার। হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যারের ব্যাপক উন্নতি
হতে থাকে। শুরু হয় Parallel
Computing এর যুগ। এই প্রজন্মে নাটাকীয় পরিবর্তন এসেছে WAN এর ক্ষেত্রে, গত
কয়েক বছরে Network
Bandwidth যেমন বেড়েছে ব্যাপক ভাবে এবং আগামী বছর গুলিতেও বাড়তেই থাকবে।
Questions
of Various Exams
প্রথম প্রজন্মের
কম্পিউটরে ব্যবহৃত হয়--(গনমাধ্যম ইনস্টিটিউট সহকারী পরিচালক, টেলিভিশন ও বেতার
প্রকৌশলী প্রশিক্ষণ : ০১)
a. ট্রানজিস্টর b. আইসি
c. মাইক্রোপ্রসেসর d. বায়ুশূন্য ভাল্ব
In which of the following generations of computer,
IC chips were used first?/ কোন প্রজন্মের কম্পিউটারে প্রথম
আইসি ব্যবহার করা হয়? [DBBL MTO:12]
a.second b.
Third
c.fourth d.
Fifth
e. None of these
VLSI কথাটি হলো -(তথ্য
মন্ত্রণালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী, টেলিভিশন :০১)
a. Very Large System Integration
b. Very Large Scale Integration
c. Very Long System Integration
d. Very Long System Input Ans. b
Among the computer generations, www, HTML, DVD, ipod
etc. are some of the popular inventions of which generation? / www, HTML, DVD,
ipod ইত্যাদি কোন কম্পিউটার প্রজন্মের উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার? (City Bank Ltd
.Probationary Officer:11)
a. 3rd b. 4th
c. 5th d. d. 6th
e. None of these
পঞ্চম প্রজন্মের
কম্পিউটারের প্রধান বিশেষত্ব-[গণমাধ্যম ইউনিট সহকারী পরিচালক, টেলিভিশন ও বেতার
প্রকৌশলী :০১]
a. বৃহৎ সহায়ক স্মৃতি b. কৃত্রিম বুদ্বিমত্তা
c.
প্যারেলেল প্রসেসিং d. বহনযোগ্যতা