know yourselves. information, computer, 7 wonders, various.

Saturday, July 20, 2019

Database management System part 2



ষষ্ঠ অধ্যায়
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
Database management System
(পিরিয়ড সংখ্যা: ৩৫)

৬.২ ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-
Database Management System (DBMS)
ডিবিএমএস (DBMS) এর পূর্ণরূপ হলো (Database Management System) ইহা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য। সেই তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় জটিল প্রোগ্রামের সমষ্টি। সাধারণত ডেটাবেজকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য DBMS ব্যবহৃত হয়। যেমন ডেটাবেজ সৃজন, নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজের জন্য DBMS ব্যবহার করা হয়।


DBMS এ বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম থাকে। ব্যবহারকারী অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের সাহায্যে ডেটাবেজের সাথে সংযোগ স্থাপন করে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করতে পারে।



 










ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম


নিচে চিত্রের মাধ্যমে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন অংশ দেখানো হলো-

 










Ÿ ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বিভিন্ন অংশ : বর্তমানে ব্যবহৃত কয়েকটি ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রোগ্রাম হলো- ডিবেস, ফক্সপ্রো, এক্সেপো, এক্সেস, ওরাকল ইত্যাদি।

৬.৩ ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কাজ (Functions of DBMS)
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ও ডেটাবেজ ব্যবহারকারীর মধ্যে সমন্বয়কারী সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করে।
নিম্নেণ DBMS এর প্রধান কাজগুলো বর্ণনা করা হলো-
১. ইহা ডেটাবেজ তৈরি করা এবং ডেটা এন্ট্রি (Entry ও রক্ষণাবেক্ষণ করা।
২.  ডেটাবেজ হতে প্রয়োজনীয় রেকর্ড গঠন ও তা পর্দায় প্রদর্শন করা ।
৩. অপ্রয়োজনীয় ডেটার ব্যবহার রোধ করা, অপ্রয়োজনীয় ডেটা ডিলিট করা ।
৪. ডেটাবেজের নিরাপত্তা রক্ষা করা ।
৫. ডেটার সঠিকতার নিশ্চয়তা প্রদান করা।
৬.ইহার সাহায্যে প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করে ডাটা ফিল্টার ও ইনডেক্স করা,  রিপোর্ট তৈরি করা।
৭. ডেটার আনুমোদিত ব্যবহার রোধ করা।
৮. ডাটা ফিল্টার ও ইনডেক্স, রিপোর্ট তৈরি করা।

৬.৪ রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-
Relational Database Management System (RDBMS)
এক টেবিলের সাথে অন্য টেবিলের লিংক বা সংযোগ তৈরি করা যায়। এটিই হচ্ছে রিলেশন। যে ডাটাবেজে একাধিক টেবিলের মধ্যে রিলেশন তৈরি করা যায় সেটিকেই রিলেশনাল ডাটাবেজ বা RDBMS অর্থাৎ Relational Database Management System বলে। রিলেশনাল ডেটাবেজে একই সঙ্গে কয়েকটি ফাইল নিয়ে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্টের কাজ করা যায়। রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে একাধিক ডেটা টেবিল, কুয়েরি, ফর্ম, রিপোর্ট ইত্যাদি। রিলেশনের প্রতিটি সারি একটি রেকর্ডের সমকক্ষ। এই সারিকে বলা হয় টিউপল (Tuple)

৬.৫ রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য
১. RDBMS এর সাহায্যে সহজে ডেটা টেবিল তৈরি করা যায় এবং ডেটা এন্ট্রি (Entry) করা যায়।
২. ইহার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের ডেটাবেজ তৈরি করা যায়, যা একাধিক টেবিলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত।
৩. ব্যবহারকারী এক ডেটাবেজ থেকে অন্য ডেটাবেজে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।
৪. ডেটাবেজের প্রয়োজনীয় ডেটা ব্যবহার করে কুয়েরি, রিপোর্ট, লেবেল ইত্যাদি ফাইল তৈরি করা যায়।
৫. একসাথে অনেকগুলো ডেটাবেজ ওপেন করা যায় এবং তাদের মধ্যে সংযোগ ও সম্পর্ক স্থাপন করা যায়।
৬. ডেটাবেজ থেকে কোন নির্দিষ্ট ডেটা খুঁজে বের করা যায়।
৭. সংখ্যাবাচক ডেটার উপর প্রয়োজনীয় গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ করা যায়।
৮. বিভিন্ন ধরনের গ্রাফ ও চার্ট তৈরি করা যায়।
৯. ইহার সাহায্যে সহজে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম বা ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়।
১০. রিপোর্ট বা লেভেল ফাইলে টেক্সট এর আকার ও আকৃতি পরিবর্তন করা যায়।
১১. রিপোর্ট ফাইলে গ্রাফ, চার্ট বা ওয়ার্কশিট সংযোজন করা যায়।
১২.  উইন্ডোজের গ্রাফিক্যাল (Object Linking and Embedding) সুবিধা ব্যবহার করে রিপোর্টে গ্রাফিক সমন্বয় সাধন এবং গ্রাফিক্যাল ডেটা এন্ট্রিফর্ম তৈরি করা যায়।

৬.৬ রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার-
(Use of Relational Database Management System)
১. অফিস ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
২. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী কর্মকর্তাদের তথ্য সংরক্ষণ ব্যবহৃত হয়।
৩. ব্যাংক বীমায় গ্রাহকদের হিসাব-নিকাশ সংরক্ষণে RDBMS) ব্যবহৃত হয়।
৪. হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা, রোগ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
৫. কোন প্রতিষ্ঠানে ক্রয়-বিক্রয়, লাভ- লোকসানের হিসাব নিকাশের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
৬. কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের ইনফরমেশন প্রস্ত্ততিতে ব্যবহৃত হয়।
৭. বেতন সিস্টেম কাঠামো তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৮. বিমান, রেল, হোটেল ইত্যাদির টিকেট রিজার্ভেশনে ব্যবহৃত হয়।
৯. জনসংখ্যা তথ্য সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
১০. গবেষণা ও জরিপমূলক কাজে RDBMS ব্যবহৃত হয়।