Database management System HSC Part01
ষষ্ঠ অধ্যায়
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
Database management System
(পিরিয়ড
সংখ্যা: ৩৫)
DATABASE
অনেক গুলো ডাটা
সম্বলিত একটি উপাত্ত বা টেবিলকেই ডাটাবেজ বলে। যেমন বিভিন্ন মানুষের নাম ও টেলিফোন
নম্বর যুক্ত যে টেলিফোন (Index)
ইন্ডেক্সটি আপনি ব্যবহার করছেন, সেটিও একটি ডাটাবেজ। সাধারণত ডেটাবেজকে বিভিন্নভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য DBMS (ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ব্যবহৃত হয়। ডিবিএমএস পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য। সেই তথ্য পর্যালোচনা করার
জন্য প্রয়োজনীয় জটিল প্রোগ্রামের সমষ্টি। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS) ব্যবহার দিনদিন বেড়েই চলেছে। তথ্য প্রযুক্তির সর্বক্ষেত্রেই ডেটাবেজ
ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে।
অধ্যায় পরিক্রমা: এ অধ্যায়টি যেভাবে সাজানো
হয়েছে। পিরিয়ড সংখ্যা: ৩৫
৬.১ ডেটাবেজের ধারণা ৬.২
ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ৬.৩ ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কাজ ৬.৪
রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ৬.৫ রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট
সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য ৬.৬ রিলেশনাল ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহার ৬.৭
ডেটাবেজ তৈরি ৬.৮ ডেটাবেজের টেবিল স্ট্রাকচার ৬.৯ ডেটাবেজের কাঠামো বা স্ট্রাকটার
পরিবর্তন ৬.৯.১ ডেটাবেজে নতুন রেকর্ড যোগ করা ৬.১০ কুয়েরি ভাষা (Query
Language)
- SQL কমান্ডের ব্যবহার ৬.১০.১ SQL এর কোডিং ৬.১১ টেবিল
তৈরি করা ৬.১২ এনটিটি রিলেশনশীপ মডেল ৬.১৩ Database Relation ডেটাবেজ রিলেশন ৬.১৪
Parents এবং Children টেবিল ৬.১৫ ডেটাবেজের
ব্যবহার ৬.১৬ ব্যাংকিং এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের ডেটাবেজ ৬.১৭ ব্যাংকিং এবং
অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে ডেটাবেজ এর ব্যবহার ৬.১৮ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেটাবেজ
৬.১৯ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেটাবেজের ব্যবহার ৬.১৯ ডেটাবেজ প্রশাসক বা ডেটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর।
MCQ এর জন্য কী-ওয়ার্ড ডেটাবেজ, RDBMS,
DBA, ডেটাবেজ রিলেশন/রিলেশনশীপ ডিবিএমএস
ইনডেক্সিং, কুয়েরি, সর্টিং, এনটিটি , ডেটা এনক্রিপশন, ডেটা সিকিউরিটি, Data
Encryption, DBA, Form,
Text/Character, Record, Fild, Report, Module, Macro, Index, ডেটাবেজের মধ্যে রিলেশন, One to One, One to Many রিলেশন, Many to
Many, কুয়েরি ভাষা, এনটিটি, E-R মডেল, করপোরেট ডেটাবেজ, এনক্রিপ্ট।
৬.১ ডেটাবেজের ধারণা (Concept of Database)
Data শব্দটি Datum শব্দের বহুবচন। Data
শব্দের অর্থ হচ্ছে উপাত্ত বা তথ্য এবং Base শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘাটি বা সমাবেশ। শাব্দিক অর্থে ডেটাবেজ হচ্ছে কোন
সম্পর্কিত বিষয়ের উপর ব্যাপক তথ্য বা উপাত্তের সমাবেশ। যেমন- একজন ছাত্রের নাম, রোল,
ঠিকানা বয়স ইত্যাদি হচ্ছে ডেটা। এ সম্পর্কযুক্ত এক বা একাধিক ফিল্ডের সমন্বয়ে তৈরি
হয় রেকর্ড। এ সম্পর্কযুক্ত এক বা একাধিক ফাইলের সমষ্টি হচ্ছে ডেটাবেজ। অনেকগুলো
ডেটাবেজকে বলা হয় ডেটা ব্যাংক।
নিচের টেবিলটি লক্ষ্য করুন। এখানে একটি ডেটাবেজ তৈরি করা আছে। এখানে Data,
Record, Field ইত্যাদি বিষয়গুলো রয়েছে।
database
image001
·
DATA: ডেটা অর্থ উপাত্ত বা তথ্য বা Information যেমন- উপরের
ডেটাবেজে প্রথম লাইন বা রো-তে বিভিন্ন ফিল্ডের নাম দেওয়া আছে-যেমন- CUST_ID ফিল্ডে অবস্থিত C003 একটি ডেটা, আবার NAME ফিল্ডে SOPNO একটি ডেটা, আবার City ফিল্ডে Dhaka অপর একটি ডেটা এভাবে প্রতিটি সেলের প্রতিটি
ইনফরমেশন বা তথ্য বা উপাত্ত হচ্ছে একটি করে ডেটা ।
Database_ image002
·
RECORD: ডেটাবেজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে হাজার রকমের ডেটা
থাকলেও ডাটাগুলি নির্দিষ্ট কলামে এবং সারিতে সাজানো থাকে। যেমন- প্রথম কলামে Cust_ID বা Customer_ID রয়েছে। আবার দ্বিতীয় কলামে Name বা নাম রয়েছে। আবার প্রথম সারিতে একজন কাষ্টমারের Cust-ID এবং পরের ঘরে তার Name এভাবে Address.
City ইত্যাদি রয়েছে। সুতরাং ১
নম্বর সারিতে ১টি রেকর্ড, ২নং সারিতে আর একটি রেকর্ড এভাবে সাজানো থাকে।
Database_ image003
·
FIELD: সমসত্ম সারি মিলে একটি Record তেমনি সমসত্ম কলাম মিলে একটি Field
তৈরি হয়। যেমন- Cust_ID কলামে সকলের ID নাম্বার, Name কলামে সকলের নাম, Address কলামে সকলের ঠিকানা ইত্যাদি থাকে। এরূপ প্রতিটি কলামেই একটি করে Field থাকে।
Database_ image004
·
TABLE: Table
হচ্ছে একটি প্লাটফর্ম বা পাত্র
যেখানে ডেটা সজ্জিত থাকে। একই ধরনের
সমসত্ম ডেটা একটি টেবিলে রাখা হয়। যেমন- একটি ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরের কাষ্টমারদের
নামের তালিকা, ঠিকানা, ক্রেডিট ইত্যাদি সহ একটি টেবিল তৈরি হতে পারে, আবার
প্রোডাক্টের ID, নাম, কোম্পানির নাম, মূল্য ইত্যাদিসহ একটি টেবিল
তৈরি হতে পারে। এভাবে হাজারো টেবিল তৈরি হতে পারে।
Database_ image005
সমস্ত টেবিল সহ উপাত্তটি হচ্ছে ডেটাবেজ।
ডেটাবেজের অন্যান্য অংশ হচ্ছে FORMS,
REPORTS, QUERIES, MACROS, MODULES.
·
ডেটাবেজ ব্যবহারের সুবিধাসমূহঃ
১। ডেটাবেজে বিভিন্ন ধরনের ডেটা সংরক্ষণ করা যায়।
২। সংরক্ষিত ডেটাকে পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী আপডেট করা যায়।
৩। অল্প সময়ে এবং দ্রুতগতিতে ডেটা উপস্থাপন করা যায়।
৪। ডেটাবেজের সংরক্ষিত তথ্যসমূহকে মানের ক্রমানুসারে সাজানো যায়।
৫। ডেটাবেজ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের FORMS,
REPORTS, QUERIES, MACROS, MODULES উপস্থাপন করা যায়।
৬। অত্যমত্ম দক্ষতার সাথে ডেটা পরিচালনা করা যায়।
·
কী-ফিল্ড (Key
Field)
ফাইল ও ডেটাবেজের রেকর্ড সনাক্তকরণের জন্য যে ফিল্ড ব্যবহার করা হয় তাকে কী-ফিল্ড বলা হয়। কী-ফিল্ড হচ্ছে সম্পর্কযুক্ত ডেটাবেজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও সেতু বন্ধন।
·
প্রাইমারি কী ফিল্ড (Primary Key Field)
যে ফিল্ডের সকল তথ্য ভিন্ন ও
অদ্বিতীয় হয় এবং যার সাহায্যে একাধিক ফাইলের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা যায় তাকে প্রাইমারি
কী ফিল্ড বলে। যেমন- একটি টেবিলের ডাটা হুবহু
অন্য টেবিলে থাকতে পারে অথবা এক টেবিলের একটি Field হুবহু অন্য টেবিলে থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিটি টেবিলে একটি স্বতন্ত্র
ফিল্ড থাকতে হবে। এই ফিল্ডের ডাটা একাধিক থাকতে পারবে না, যেমন- মনে করুন
কর্মচারীদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করে টেবিল তৈরি করা আছে। এখানে একই নামের কয়েকজন
কর্মচারী থাকতে পারে অথবা একই বয়স, একই বেতন ইত্যাদি থাকতে পারে। কিন্তু
প্রত্যেকের একটি স্বতন্ত্র Identify
Number থাকতে হবে। যেটি দিয়ে
প্রত্যেককে আলাদা করা যাবে। সুতরাং প্রতিটি টেবিলে একটি স্বতন্ত্র ফিল্ড থাকতে
হবে। একটি টেবিলের যে কোন একটি ফিল্ডের সাথে Primary Key সংযুক্ত
করে ফিল্ডটিকে স্বতন্ত্র করতে হবে।
·
কম্পোজিট
প্রাইমারি কী ফিল্ড (Composite PrimaryKey Field):
যখন কোন ডেটাবেজ ফাইলে কোন সুনির্দিষ্ট প্রাইমারি কী থাকে না, তখন একটি
ফিল্ডকে প্রাইমারি কী ফিল্ড হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। সেক্ষেত্রে দুটি ফিল্ডকে
একত্রে প্রাইমারি কী ফিল্ড হিসাবে ব্যবহার হয়। এ ধরনের প্রাইমারি কী ফিল্ডকে বলা
হয় কম্পোজিট প্রাইমারি কী ফিল্ড।
·
ফরেন
কী ফিল্ড (Foreign
Key Field)
যদি কোন ডেটাবেজের একটি ফাইলের প্রাইমারি কী ফিল্ড অন্য কোন ডেটা ফাইলের
সাধারণ ফিল্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে ঐ ফিল্ডকে বলা হয় ফরেন কী ফিল্ড। প্রতিটি
টেবিলে অবশ্যই একটি Primary Key সংযুক্ত থাকতে হবে। এই Primary
Key-র উপর ভিত্তি করেই রিলেশন করা টেবিল থেকে ডাটা খুঁজতে
থাকে। অপর টেবিলে অবস্থিত একই নামের কমন ফিল্ডটিই হচ্ছে Foreign Key Field.